সাফারি পার্ক কি বারে বন্ধ থাকে

সাফারি পার্ক নির্মাণ প্রকল্প ২০১০ সালে অনুমোদিত হয়। এ সময় পার্কটির নির্মাণ ব্যয় ৬৩.৯৯ কোটি টাকা ধরা হয়। পরবর্তীতে পার্কটির নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধি করে ২১৯.৮৯ কোটি টাকা করা হয়।

২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাফারি পার্ক আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করে। সাফারি পার্ক কি বারে বন্ধ থাকে বা বন্ধ থাকবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে সাফারি পার্ক সপ্তাহে এক দিন বন্ধ রাখা হয়। মূলত পার্ক সকল জীবজন্তু রক্ষণাবেক্ষণ এবং পার্ক পরিচর্যা ও পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রতি সপ্তাহে ১ দিন সাফারি পার্ক বন্ধ থাকে।

সাফারি পার্ক কি বারে বন্ধ থাকে

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কি বারে বন্ধ থাকে তা পার্ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিবর্তিত হতে পারে। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

বর্তমানে সকল বাংলাদেশীদের জন্য সাফারি পার্ক প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা এবং ১৮ বছরের নিচে অর্থাৎ শিশুদের প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা। এ ছাড়া ছাত্র ছাত্রীদের ক্ষেত্রে প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা আদায় করা হয়।

তবে বিদেশি পর্যটকদের ক্ষেত্রে সাফারি পার্ক প্রবেশ মূল্য প্রায় ৫ ডলার অর্থাৎ প্রায় ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। এছাড়া সাফারি পার্কে শিক্ষা সফরে আসা শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রবেশ সুবিধা রয়েছে। যেমন-

শিক্ষা সফরে আসা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ৪০ জন থেকে ১০০ জনের মধ্যে হলে প্রবেশ মূল্য সকলের জন্য মাত্র ৪০০ টাকা এবং শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ১০০ এর বেশি হলে প্রবেশ মূল্য ৮০০ টাকা প্রদান করতে হয়।

সাফারি পার্ক সাপ্তাহিক বন্ধ

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের ৩ তারিখ এবং দ্বিতীয় সপ্তাহের ১০ তারিখ বন্ধ ছিল। এছাড়াও চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের ১৭ তারিখ এবং চতুর্থ সপ্তাহের ২৪ তারিখ সাফারি বন্ধ থাকবে।

তবে সাফারি পার্কের মেরামত সহ রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য যে কোনো দিন বন্ধ থাকতে পারে। তবে পার্ক বন্ধ করার প্রয়োজন দেখা দিলে পার্ক কর্তৃপক্ষ বন্ধ সংক্রান্ত নোটিশ প্রকাশ করে থাকে।

গাজীপুর সাফারি পার্কের সময়সূচী

সাফারি পার্ক সপ্তাহের ৬ দিন এবং মাসের ২৬ দিন খোলা থাকে। বর্তমানে গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

অর্থাৎ বিকেল ৫ টার পর সাফারি পার্কের সকল প্রকার টিকেট বিক্রয় বন্ধ করা হয়। সাফারি পার্কের সকল দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে ন্যূনতম প্রায় ১০ ঘন্টা থেকে ১২ ঘন্টা সময় লাগে।

সাফারি পার্ক কোথায় অবস্থিত

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক বাংলাদেশের গাজীপুর জেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে এবং ময়মনসিংহের বাঘের বাজার থেকে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে সাফারি পার্ক অবস্থিত।

ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণির নিরাপদ আবাসস্থলের জন্য বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা এবং গাজীপুর সদর উপজেলার পীরুজালী মৌজার খন্ড খন্ড শাল বনের ৪৯০৯ একর বন ভূমি নিয়ে সাফারি পার্ক গড়ে উঠেছে।

সাফারি পার্ক গাজীপুর টিকেট মূল্য ২০২৫

বর্তমানে মিনি বাসে ঘুরে খোলা পরিবেশে জীব জন্তুর দেখতে প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে টিকেট মূল্য ১০০ টাকা এবং ১৮ বছরের কম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক গাজীপুরে প্যাডেল বোটে ৩০ মিনিট ভ্রমণ করতে প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জনপ্রতি ২০০ টাকা এবং শিশুদের ক্ষেত্রে জনপ্রতি ১০০ টাকা খরচ হয়ে থাকে।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সকল দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে টিকেট ক্রয় করতে হয়। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সকল দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে প্রায় ৯০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

গাজীপুর সাফারি পার্ক কিভাবে যাব

বর্তমানে ঢাকা থেকে বাস এবং ট্রেনের সাহায্যে অল্প সময়ে গাজীপুর সাফারি পার্কে যাওয়া যায়। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনের সাহায্যে গাজীপুর আসতে হবে।

অতঃপর গাজীপুর থেকে লেগুনা অথবা বাসের সাহায্যে বাঘের বাজার আসতে হবে। বাঘের বাজার থেকে ইজি বাইক/ অটো রিক্সা বা সিএনজি করে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে সাফারি পার্কে মূল ফটক পৌঁছাতে হবে।

এছাড়া বাসের সাহায্যে মাত্র ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকা ভাড়া দিয়ে গাজীপুরের বাঘের বাজার পর্যন্ত আসা যায়। অতঃপর বাঘের বাজার থেকে সিএনজি বা অটোরিকশার সাহায্যে ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে সাফারি পার্কে আসা যায়।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক সরকারি হওয়ায় সাফারি পার্ক কি বারে বন্ধ থাকে তা সরকারি ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। সাফারি পার্কে বিভিন্ন প্রকার জীবজন্তু রয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশে ভ্রমণ করার জন্য সাফারি পার্ক সব থেকে উপযোগী। তবে সাফারি পার্কে ভ্রমণ কালে কোন জীবজন্তু কে উত্যক্ত করা যাবে না। ধন্যবাদ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *